রোববার একজন ক্রেতার দেয়া তথ্যে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত ওই ফ্যাশন হাউজের এমন প্রতারণা উদঘাটন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে বেশ কিছু পাঞ্জাবিতে দামের এমন পরিবর্তন ধরা পড়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর জব্বার মণ্ডল বলেন, শনিবার ওই প্রতিষ্ঠান থেকে একজন ক্রেতা পাঞ্জাবি কেনেন। সেটা বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর তিনি দেখেন পাঞ্জাবির মূল্য লেখা স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার- যেখানে দামটা আরেকটু কম। তার নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে দাম আরো একটু কম। সেই ক্রেতা শনিবার রাতেই আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। এরপর রোববার সরাসরি ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় আরো অনেকগুলো পাঞ্জাবিতেও একই কাজ করা হয়েছে। এদিকে অভিযানের পর রোববার আব্দুর জব্বার তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘৫০ শতাংশ ছাড় ও অভিনব প্রতারণা! পাঞ্জাবির স্টিকারে এমআরপি ২ হাজার ৪৯০ টাকা এবং ৫০ শতাংশ ছাড়, উক্ত স্টিকারের নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে লেখা ১ হাজার ৭৯০ টাকা এবং এর নিচে আরেকটি স্টিকার, সেখানে লেখা ১ হাজার ১৯০ টাকা! তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হল ঢাকা মহানগরীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের আইরো প্রতিষ্ঠানকে।’ আইরো’র মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা শফিউল্লাহ শাওন গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের চারটি শোরুম বন্ধ হয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলো সেসব শোরুম থেকেই এসেছে। এক্ষেত্রে আমাদের একটা মিস ম্যানেজমেন্ট হয়েছে। কিছু প্রোডাক্টের লেবেলে আগের প্রাইস ট্যাগগুলো না সরিয়েই সেগুলোর উপরে নতুন প্রোডাক্টের প্রাইস ট্যাগ লাগানো হয়েছে। ১ হাজার ৯০ টাকা মূল্যের কারচুপির কাজ করা কোনো পাঞ্জাবি হওয়া সম্ভব না। তিনি দাবি করেন, পাঞ্জাবিতে লাগানো ট্যাগগুলোর নিচের লেবেল মূলত টিশার্ট, শার্ট এসব প্রোডাক্টের ছিল। সেগুলোর উপরেই ডিসকাউন্টে পাঞ্জাবির বারকোডযুক্ত ট্যাগ লাগানো হয়েছিল। আগের ট্যাগ তুলে নতুন ট্যাগ লাগানো হলে এ ভুল বোঝাবুঝিটা হত না, এখানেই আমাদের ভুল ছিল।