মাদক মামলায় নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স ইসমাইল খালেকসহ দু’জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সোমবার এ রায় দেন। প্রায় এক যুগ আগে দায়ের করা হয়েছিল মামলাটি। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যজন হলেন- ইফতেখার সুমন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারুক উজ্জামান ভূঁইয়া।এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রিন্স ইসমাইল খালেক নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। তবে তিনি মাদক মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন কি না, সে তথ্য তার জানা নেই। ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “মাদক মামলায় সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা যদি সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।”
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৫ মে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ প্রিন্স ইসমাইল খালেক ও ইফতেখার হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব-২। এ ঘটনায় র্যাবের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ জুন দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরের বছর আদালত ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় তারা জামিনে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৫ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, “অনেকের কাছে বিষয়টি শোনার পর তার (প্রিন্স ইসমাইল খালেক) বাসায় যোগাযোগ করেছি। বাসা থেকে জানানো হয়েছে, তিনি ভারতে আছেন। আমি এখনও বিষয়টি নিশ্চিত না। আপনারা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।” পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রিন্স ইসমাইল খালেকের মা, বোন, বোনের জামাই, চাচা ও মামা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে দেখতে গিয়েছেন। কিন্তু দেখা করতে পারেননি। কারণ হিসেবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রিন্স ইসমাইল খালেককে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।বিডি প্রতিদিন