প্রাইম রিপোর্টঃ-
বরগুনায় আরও ৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার
জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পিটুনির ঘটনার একদিন পরে এবার বরগুনা থেকে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলী আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন।প্রত্যাহার করা ৫ পুলিশের সদস্যের মধ্যে বরগুনা সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সাগর দে, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল রাফিউল, জেলা গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল কে এম সানিকে ভোলায় এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার সহকারী উপ-পরিদর্শক ইসমাইল ও সদর থানার কনস্টেবল রুহুল আমিনকে পিরোজপুরে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে এই ঘটনায় আলোচনায় থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে বরগুনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় পাল্টাপাল্টি ইট ছোড়াছুরির ঘটনা ঘটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে। এসময় পুলিশের একটি গাড়ির সামনের গ্লাসে ইটের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। আর অপর গ্রুপকে শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের ভেতরে পিটুনী দিয়ে নিবৃত করে। এ ঘটনার পর থেকে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলানায়তনে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।