৫-০, ৫-২, ৭-১। লিগ আ-তে আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জালে ১৭ গোল দেওয়া পিএসজি যেন উড়ছিল। সেই উড়তে থাকা দলটাকে আজ রোববার মাটিতে নামিয়েছে মোনাকো। পিএসজির সঙ্গে ওদেরই মাঠে ১-১ ড্র করে কেড়ে নিয়েছে পয়েন্ট। এই মৌসুমে লিগে এই প্রথম পয়েন্ট হারালেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা।
পরপর তিনটা ম্যাচ যে দাপটের সঙ্গে খেলেছিল পিএসজি, আজ সেটার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। সত্যি বলতে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগ পর্যন্ত পিএসজিকে ম্যাচেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। খুব এলোমেলো লাগছিল মাঝমাঠ।
ততক্ষণে মোনাকো এগিয়ে গেছে। আলেকসান্দর গোলোভিনের পাস থেকে কেভিন ভলান্ড দুর্দান্ত গোলটা যখন করেন, ম্যাচের বয়স ২০ মিনিট। ভলান্ড অবশ্য এরপর বেশিক্ষণ মাঠে ছিলেন না। চোট পেয়ে উঠে যান মিনিট পাঁচেক পরেই।
মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের হুঁশ ফেরে বিরতির ঠিক আগে আগে। তাতে লাভ হয়নি খুব একটা। মেসির দারুণ একটা শট ফিরে আসে মোনাকোর পোস্টে লেগে, ফিরতি বলে এমবাপ্পের শটেরও একই পরিণতি।
বিরতির পর কিছুটা ধার ফেরে পিএসজির খেলায়। কিন্তু শুরুর দিকেই এমবাপ্পের একটা শট ফিরিয়ে দেন মোনাকোর গোলরক্ষক আলেকজান্দার নুবেল, ৫৮ মিনিটে নেইমারের শট ঠেকিয়ে আবার নিজের দলকে বাঁচান। এমবাপ্পে-মেসিরা তাই সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো মুহূর্ত উপহার দিতে পারছিলেন না।
অবশেষে সেই সময়টা আসে ম্যাচের ৭০ মিনিটে। ডি-বক্সে নেইমারকে ফাউল করায় পেনাল্টি আবেদন করে পিএসজি। ভিএআর দেখে রেফারি সেই আবেদন যৌক্তিক মনে করলেন। স্পট কিক থেকে সমতা ফেরানো গোলটা করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজেই। লিগে এ নিয়ে সর্বশেষ ৬ ম্যাচেই গোল পেলেন নেইমার। এ মৌসুমে লিগের ৪ ম্যাচে তাঁর ৬ গোল, করিয়েছেন আরও ৬টি। সত্যিই, অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন ব্রাজিল তারকা।