নাঙ্গলকোটে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ, আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাঙ্গলকোটে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে উপজেলার লোটাস চত্বরে
নাঙ্গলকোটে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে উপজেলার লোটাস চত্বরে

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় গুলিতে দুই নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর আগে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে নাঙ্গলকোট পৌর এলাকার লোটাস চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপজেলার বাঙ্গড্ডা এলাকা থেকে কুমিল্লায় ফিরে আসেন।

মনিরুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধায় সমাবেশস্থলে যেতে পারিনি। এ কেমন আচরণ। শান্তিপূর্ণ সমাবেশও ওরা ভণ্ডুল করে দিল।’

পুলিশ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় গুলিতে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। আগে থেকেই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের কথা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। কর্মসূচিতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়াও যোগ দেন। সকাল নয়টার আগে দলে দলে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শুরু করেছিলেন। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে। পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে তাঁদের অন্তত ১৫ কর্মী আহত হয়েছেন।

তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিই। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আমরা কারও ওপর হামলা করিনি।’

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশের বেশ কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন।

Md.Iqbal Hossain

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *