এরপর একজন ইউক্রেনীয় দোভাষীর মাধ্যমে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা দেখি, রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা লোকজনও জীবনকে পছন্দ করেন। সেই হিসাবে আমি মনে করি, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি ততটা সুনির্দিষ্ট নয়, যেমনটি কিছু বিশেষজ্ঞও বলেছেন। কারণ, তাঁরা জানেন এটা ব্যবহার করে ফেলার পর পিছু হটার সুযোগ নেই—না তাঁদের দেশের ইতিহাসে, না নিজেরা ব্যক্তি হিসেবে।’
গত বৃহস্পতিবার অনলাইন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর আহ্বানের বিষয়টি অস্বীকার করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, যে ইউক্রেনীয় শব্দ তিনি ব্যবহার করেছেন, সেটাকে ভুলভাবে নেওয়া হয়েছে।
জেলেনস্কির ওই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সেটাকে ‘আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আবেদন’ হিসেবে অভিহিত করেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, এতে প্রমাণিত হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান চালানোটা কেন সঠিক।
কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র–সংকটের পর বিশ্ব প্রথমবারের মতো মানবসভ্যতা-বিধ্বংসী পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে (আরমাগেডন) পড়েছে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিবিসি জেলেনস্কির এ সাক্ষাৎকার নেয়।
জেলেনস্কি বলেন, এখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ, রাশিয়ার হুমকি ‘গোটা বিশ্বের জন্য ঝুঁকির’। তিনি দাবি করেন, জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে মস্কো এ পথে ‘ইতিমধ্যে এক ধাপ এগিয়েছে’।
আরও পড়ুনপুতিন কি পারমাণবিক হামলা করেই ছাড়বেন
ইউরোপের সর্ববৃহৎ এ পারমাণবিক কেন্দ্রকে রাশিয়ার মালিকানায় নেওয়ার চেষ্টা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জেলেনস্কি বলেন, সেখানে প্রায় ৫০০ রুশ সেনা রয়েছেন। যদিও ইউক্রেনীয় কর্মীরাই এখনো সেটি পরিচালনা করছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘বিশ্ব জরুরি ভিত্তিতে রুশ দখলদারদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে পারে এবং তাঁদেরকে পারমাণবিক কেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য করতে সবকিছু করতে পারে।