ডেস্ক রিপোর্টঃ-
নড়াইলের মধুমতি সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণের মানুষের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই সেতু দুটি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগেও সেতু দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকবে। মোংলা পোর্ট ও চট্টগ্রাম পোর্টের সঙ্গে যোগাযোগটা বাড়বে। ফলে অর্থনীতি গতিশীল হবে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সেতু দুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সড়ক অবকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়াতে চায় সরকার। আরও নতুন নতুন সড়ক এবং সেতু নির্মাণের ফলে বাড়বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে।
মধুমতি নদীর বুক চিরে দৃষ্টিনন্দন এবং দেশের প্রথম ছয় লেনের এই সেতু যুক্ত করলো গোপালগঞ্জের সঙ্গে নড়াইল জেলাকে। সেতুর মাঝখানে বসানো দেড়শ’ মিটারের ধনুকের মতো বাকানো স্প্যানটি নির্মাণ করা হয়েছে ভিয়েতনামে। আর উভয় পাশের অন্য স্প্যানগুলো পিসি গার্ডার এবং কংক্রিটের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেতু ট্রান্স এশিয়া মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করলো বাংলাদেশকে, আর দক্ষিণের মানুষের জন্য তৈরি হলো নতুন সম্ভাবনা।
শেখ হাসিনার বক্তৃতায় উঠে আসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে এ যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধের পেছনে অর্থ খরচ না করে অবহেলিত শিশুদের পেছনে টাকা খরচ করুন। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ আমাদের উন্নয়নের গতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তারপরও আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রখবো। আমরা সবাই পরিশ্রম করে যাবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে কোনো অঞ্চলই আর অবহেলিত থাকবে না।
একই দিনে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি চালু হওয়ায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হলো। এর ফলে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহনগুলো নারায়ণগঞ্জ শহরে না ঢুকে মদনপুর দিয়ে মুন্সিগঞ্জ মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুতে উঠতে পারবে।