স্টাফ রিপোর্ট
বিশ্বনাথে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজীতে মাত্র ১০ টাকার টোল আদায় নিয়ে ছয় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে থানার ওসিসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া শতাধিক দোকানপাঠ ও গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রোববার রাত পৌনে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষ শেষ পর্যন্ত গুলি ছুড়ে থামাতে হয়েছে পুলিশকে।
রোববার রাতে উপজেলার লামাকাজী পয়েন্টে মির্জারগাঁও, সাঙ্গিরাই, মোল্লারগাঁও, কেশবপুর, কাজিরগাঁও ও দোকানিপাড়াসহ ছয় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) শেখ মো. সেলিম, ওসমানীনগর সার্কেল রফিকুল ইসলাম ও ডিভি পুলিশের ওসি রেফায়েত উল্লাহ ঘটনাস্থলে যান।
স্থানীয়রা জানান, নম্বরবিহীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা লামাকাজী থেকে বাঁশের টোল না দিয়ে জালালাবাদ উপজেলার টুকেরবাজারে যাওয়ার চেষ্টার করে।
এ সময় বাঁশের টোলের লাইনম্যান তাকে আটকে ১০ টাকা টোল দেওয়ার কথা বলেন। তখন ওই অটোরিকশাচালকের আত্মীয়স্বজন লামাকাজীর মির্জারগাঁও গ্রামের গোলাম মৌলা ও জাকারিয়া নামের দুই ব্যক্তি টোলবক্সের অফিসে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে অটোরিকশাচালকের পক্ষে মির্জারগাঁও গ্রামবাসী ও টোলবক্সের পক্ষ নিয়ে সাঙ্গিরাই, মোল্লারগাঁও, কেশবপুর, কাজিরগাঁও ও দোকানিপাড়াসহ ছয় গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় উভয়পক্ষের ইটপাটকেলে আহত হন থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান, ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম, এসআই অমিত সিংহ, এসআই বিণয় ভুষণ সরকার, কনস্টেবল রফিক মিয়া, কামরুল ইসলাম, শামিম আহমদ ও সুজন আহমদ।
আর ছয় গ্রামবাসীর মধ্যে আহত হন একেএম দুলাল, নজির মিয়া, ফয়সল আহমদ, আব্দুল হক, সুজাদ মিয়া, কামাল মিয়া ও এনাম মিয়াসহ প্রায় শতাধিক লোক। রাতে তাদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে তিনি কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে ও আটকের বিষয়টি পরে জানাবেন বলে জানান।