স্টাফ রিপোর্ট
অবশেষে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয় খরা কাটিয়েছে টাইগাররা। ২০০৭ সালের পর মাঝে কেটে গেছে ১৬টি বছর ও সাতটি আসর। টি২০ বিশ্বকাপের মূলপর্বে কখনোই জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অবশেষে হোবার্টে এলো সেই বহুল প্রতীক্ষিত জয়।
এদিন আগে ব্যাট করে ডাচদের ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে দাপুটে বোলিংয়ে ডাচদের কোণঠাসা করে রাখে বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ডাচদের আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিল কলিন অ্যাকারম্যান। তবে সতীর্থদের সঙ্গ পাননি।
পরে মারতে গিয়ে ৬২ রান করে তাসকিনের বলে আউট হয়ে ফিরলে জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ৯ রানে।
এর আগে বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৫ রানের জবাবে শুরুতেই তাসকিন-সাকিব ঝড়ের সামনে পড়ে নেদারল্যান্ডস। তবে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুতই তা সামলে ওঠে ডাচরা। অন্ধকার দূরে ঠেলে ডাচদের আলোর পথ দেখান কলিন অ্যাকারম্যান। তাকে ফেরানো না গেলেও এডওয়ার্ডস ও প্রিঙ্গলেকে ফিরেয়ে স্বস্তি ফিরে বাংলাদেশ শিবিরে। এর পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি।
তার আগে উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ২৪ বল থেকে ১৬ রান করে সাকিবের বলে আউট হয়ে ফিরেন তিনি। খানিক পর টিম প্রিঙ্গলের উইকেট ভেঙে দেন হাসান মাহমুদ। তার আগে প্রিঙ্গলের সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন নাজমুল শান্ত। এর পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি শেষে লগান ভান ব্রিকের উইকেট তুলে নিয়েছেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলা হাসান।
তবে অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছিলেন অ্যাকারম্যান। পরে বিপরীত প্রান্তের উইকেটের দিকে মনোযোগী হয় বাংলাদেশি বোলাররা। সাফল্যও মিলে তাতে। শারিজ আহমেদকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন তাসকিন। ভয় ধরাচ্ছিলেন অ্যাকারম্যান। তবে তাকে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি এনে দেন তাসকিন। আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ২ ছয় ও ৪ চারে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এর আগে এদিনে বোলিংয়ে নেমে প্রথম বলেই নেদারল্যান্ডস ওপেনার বিক্রমজিৎ সিংকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু এনেদেন তাসকিন আহমেদ। পরের বলেও পেয়েছেন উইকেটের দেখা। তবে আশা জাগিয়েও হ্যাটট্রিক আদায় করতে পারেননি তাসকিন। তবে আগ্রাসী বোলিংয়ে ডাচ ব্যাটারদের খাবি খাইয়েছেন। তার আগ্রাসী বোলিংয়ে পুড়েছে ডাচ ব্যাটারা। পরে আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। খানিক পর আবারও রান আউট হয়ে ফেরে টম কুপার। দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ।
এর আগে বিশ্বকাপ মিশনে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়েছে বাংলাদেশ। এ দিন মিডল ওভারে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ সামলে বাংলাদেশকে মাঝারি মানের সংগ্রহের পথে রাখেন আফিফ হোসেন। আফিফের মতোই দ্রুত রান তুলেছেন মোসাদ্দেক। এ দুজনে ভর করে ডাচদের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
এ দিন টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সৌম্য সরকারকে হারায় সাকিবের দল। খানিক পর শান্তও ফিরে গেলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ কাটাতে গিয়ে উল্টো চাপ বাড়িয়ে ফিরে যান লিটন ও সাকিব। চাপ কাটাতে দায়িত্ব নিতে পারেননি ইয়াসিরও। পল ভ্যান মিকেরেনের বলে স্টাম্প ভেঙে যায় তার। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে ফিরে গেছেন সোহানও। তবে মাঠে ছিলেন আফিফ। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ২৭ বলে ৩৮ রান করে দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ফিরে যান তিনি। পরে তার দেখানো পথেই হেঁটেছে মোসাদ্দেক। তার ১২ বলে ২০ রানে ভর করে মাঝারি মানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ