স্টাফ রিপোর্টারঃ –
বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আজ শনিবার সকালে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই ঘটনার জেরে বহরে থাকা বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে স্থানীয় মাহিলাড়া মডার্ন ক্লাবে ভাঙচুর করে ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১৫ নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন। গুরুতর আহত ৫ জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে ইশরাক হোসেন ৫০ থেকে ৬০টি গাড়ির বহর নিয়ে আজ সকালে বরিশালে যাচ্ছিলেন।
গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রারি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলাশ কবিরাজ ও মাহিলাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন যুবলীগ–ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা বহরে থাকা ৭টি গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বহরে হামলার পরে ইশরাক হোসেনের সফরসঙ্গীরা জড়ো হয়ে মাহিলাড়া মডার্ন ক্লাবের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং পিটিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৫ নেতা-কর্মীকে আহত করেন।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেওয়ান আব্দুস সালাম বলেন, আহত পাঁচজন যুবলীগ নেতাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রারি, বিলাশ কবিরাজ, মো. সহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা পলাশ কবিরাজ, আলীম হোসেন খান, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি রাসেল সেরনিয়াবাত। কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফত বলেন, ‘মাহিলাড়া এলাকায় ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ৭টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০ জনকে আহত করেছেন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এবিষয়ে মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রারি বিএনপি নেতার বহরে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মাহিলাড়া মডার্ন ক্লাবে ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী আড্ডা দিচ্ছিলাম। সকাল সাতটার দিকে ইশরাক হোসেন প্রায় শতাধিক মাইক্রোবাস নিয়ে বরিশাল যাওয়ার পথে আমাদের ক্লাবে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে বিলাশ কবিরাজ, মো. সহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা পলাশ কবিরাজ, আলীম হোসেন খান, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি রাসেল সেরনিয়াবাত, আমাকেসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের পাঁচজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও মডার্ন ক্লাবে সামনে থাকা নেতা-কর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেছন।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছেন তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। খোঁজখবর নিয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’