স্টাফ রিপোর্ট
লুসাইল স্টেডিয়ামের ৮০ হাজার মানুষের সামনে কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে গেল।
২-১ ব্যবধানে হেরেছে লিওনেল মেসির দল।
গ্রুপ সি তে আজ প্রথম এই ম্যাচটি মাঠে গড়ায় যেখানে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম থেকেই সৌদি আরব আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে।
খেলা দেখে মনেই হয়নি আর্জেন্টিনা ফিফা র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানীয় একটি দল এবং সৌদি আরব আছে র্যাংকিংয়ের ৫১তম স্থানে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আর্জেন্টিনার অফসাইডের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় আটে।
ঠিক ৪৮তম মিনিটে সৌদি আরব প্রথম গোল পায়। সালেহ আল শেহরি ফরোয়ার্ডে গিয়ে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর পাশ থেকে হেড নিয়ে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে পরাস্ত করেন।
রোমেরোর পা নড়েনি – বলছেন রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার ক্লিনটন মরিসন।
কাতারে বিবিসি স্পোর্টের রিপোর্টার অ্যানি সাইরার, “কেউ এটা ভাবেইনি কখনো যা হলো। স্টেডিয়ামের আশে পাশে হাজারো সৌদি আরব সমর্থকরা সবুজ জামা পরে আনন্দ করে বেড়াচ্ছেন। তারা কেউ ভাবেনি এমন কিছু হতে যাচ্ছে।”
কিন্তু তার ঠিক ছয় মিনিট পর যা হলো – তা গোটা বিশ্বকাপের হিসেবনিকেশই হয়তো বদলে দিতে পারে ।
আর্জেন্টিনার জালে দ্বিতীয় গোল করে সৌদি আরব। টুর্নামেন্টের আগে যে দল ছিল টপ ফেভারিট – তারা সৌদি আরবের কাছে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো ম্যাচের মাঝপথে।
সালেম আল-দাওসারির গোলে সৌদি আরব এগিয়ে গেল।
বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভের ধারাভাষ্যকার মার্ক স্কট বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে স্কালোনি এখন জানেন না তিনি কী করতে যাচ্ছেন।”
“আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয়ার্ধে দেখে মনে হয়েছে তারা নিজেদের অর্ধ থেকে বল বের করতে পারছে না। তাদের রিক্ত মনে হচ্ছে”।
১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম সৌদি আরব বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে গোল পেয়েছে।
এরপর শুরু হয় আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডের সাথে সৌদি আরবের ডিফেন্সের খেলা। সৌদি আরবের হাসান আল তামবাখত ট্যাকল করে গোল ঠেকিয়ে দেন ৫৬তম মিনিটে।
লিওনেল মেসি চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। বিবিসি স্পোর্টের অ্যান্ডি ক্রাইয়ার ছিলেন গ্যালারিতে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সমর্থকরাই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কী হচ্ছে।
দ্বিতীয় গোল হজম করার পর দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নেন স্কালোনি।
কিন্তু সেসব কোন কাজেই দেয়নি। ৯০ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনার আক্রমণেই খেলা চলতে থাকে।
একবার গোললাইন থেকেও বল ফিরিয়ে দেয় সৌদি আরবের ডিফেন্স।
শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব ২-১ গোলের জয় দিয়ে ম্যাচ শেষ করে।
ক্লিনটন মরিসন বলেন, “আর্জেন্টিনা খুবই খারাপ খেলেছে সেকেন্ড হাফে। তাদের আরও গিয়ার ওপরে ওঠানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সৌদি আরব পুরোপুরি ম্যাচটার জন্য উজ্জীবিত ছিল। আর্জেন্টিনার র্যাংকিং কিংবা দলের শক্তি কিছুই কাজে আসেনি।