স্টাফ রিপোর্ট
মতিউর রহমান চৌধুরী, কাতার: এই মুহূর্তে কাতারে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূত নেই। অনেকটা তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনকে ডেকে নেয়া হয়েছে। চীনে তার পোস্টিং হয়েছে- এমনটাই এখানে বলা হচ্ছে। ৬ই নভেম্বর পেশাদার এই কূটনীতিক কাতার ছেড়েছেন। পোস্টিং হয়ে গেছে তাই তিনি চলে গেছেন- এটা কোনো খবর নয়। খবর হচ্ছে, যে দেশে তিনি ছিলেন সেই দেশটি বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো বিশাল আয়োজন করে তামাম দুনিয়াব্যাপী আলোচনায়। দীর্ঘ ১২ বছরে তারা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করেছে। কট্টর সমালোচকরাও বলছেন, এত বড় আয়োজন সত্যিই বিস্ময়কর। শুধু টাকা খরচ করেই এটা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার মেধা ও যোগ্যতার।
কাতার সেটাই প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এক বছর বাকি থাকতেই চলে গেলেন কেন? এ নিয়ে এন্তার আলোচনা। বলা হচ্ছে- দুনিয়া যেখানে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে সেখানে মাত্র দু’সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ কেন তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো। এমন যদি হতো জরুরি কাজ তাই রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করতে হবে তাহলে ছিল ভিন্ন কথা। নতুন কোনো রাষ্ট্রদূতও এখানে আসেননি। চীনে তো এক মাস পরেও রাষ্ট্রদূত পাঠানো যেত। কাতার এ ব্যাপারে কিছুই বলেনি। তবে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র আমাকে বলেছে, দেশটির আমীর তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে যান তখন নাকি তিনি বলেছেন- এখনই যাবেন? তিনি অবশ্য বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছেন। চলতি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কাউকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যায়নি। দাওয়াত এসেছিল কি-না তাও জানা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, কাতারে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন।