তাফসির হোসেনঃ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ মাষ্টার পাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্ত থেকে কোরআনে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছার (১৭) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
উদ্ধারের পরে পুলিশের কাছে লাস হস্তান্তর করেন তারা। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রবিবার রাতে লিফটের গর্তে প্রবাসী আজিজুর রহমানের ভবনের প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম মৃতদেহ দেখতে পায়।
প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের মালামাল দেখার জন্য ২য় তলায় যান। মালামাল দেখে আসার সময় নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের নিচ তলা লিফটের ফাঁকা গর্তে টর্চ লাইট মারলে লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের বাবা মোস্তফা কামাল জানান, তার ছেলে কোরআনে হাফেজ। রমজানের মাসে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তারাবির নামাজ পড়ানো শেষে ঈদ করতে বাসায় ফেরেন। চাঁদ রাত অর্থাৎ শুক্রবার ইফতার করে বড় মসজিদের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। তারপর আর বাসায় ফিরেনি সে। নিখোঁজের দুইদিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে তারা মকিমাবাদ মাস্টার পাড়ায় বাসা ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার রাম দাসদী এলাকায়।
তবে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের মা পেয়ারা বেগম বলেন, গত কয়েক মাস আগে তার ছেলে একটি মাদ্রাসার পোস্টার ছিঁড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েক কিশোরের সাথে হট্টগোল হয়। তাকে মারধর করতে ১০/১২ জনের একটি দল বাসায় পর্যন্ত গিয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শাহআলম বলেন, পূর্বে কারো সাথে কোন হট্টগোলের খবর জানা নাই।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জোবায়ের সৈয়দ। তারা জানান, মৃতদেহের মুখের বাম পাশে ও মাথার বাম পাশে থেতলানো এবং মাথার পিছনের অংশে ফাটা জখম রয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা কিনা।