জসিম উদ্দিনঃ
০৬ জুলাই,বৃহস্পতিবার
মেঘনায় ৩ টি ট্রলারে দস্যুদের হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছে।
ভোলার মনপুরা উপজেলায় মেঘনা নদীতে তিনটি মাছধরা ট্রলারে হামলা চালিয়ে দুই জেলেকে অপহরণ করেছে দস্যুরা। এসময় দস্যুদের হামলায় ১৩ জেলে আহত হয়েছেন।
অপহৃত জেলেরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামে আব্দুর রহিম ও সুজন।
মহিউদ্দিন বাহিনী এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন আড়তদার বাবু মোহনলাল চক্রবর্তী ও জেলে পরিবারের সদস্যরা।
তাদের অভিযোগ, অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করছে দস্যুরা।
দস্যুদের হামলায় আহতরা হলেন সাহেদ, সাগর, শামীম, সাহিদ, জুয়েল, মহিউদ্দিন, হাবিব, শরিফ, রাসেদ, ছিদ্দিক, জাহাঙ্গীর, নিজাম ও কালু।
তাদের সবার বাড়ি একই এলাকায়।
জেলে ও আড়তদার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৫ জুলাই) ভোরে মনপুরা ও নোয়াখালীর হাতিয়ার সীমান্তবর্তী উড়ির চর এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় তিনটি ট্রলারে হানা দেয় মহিউদ্দিন বাহিনী। এসময় দস্যুরা শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়ে। দস্যুরা একে একে তিন ট্রলারে থাকা জেলেদের মারধর করে মাছ, রসদ ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। দস্যুরা যাওয়ার সময় দুই ট্রলার থেকে রহিম ও সুজন মাঝিকে অপহরণ করে হাতিয়ার গহীন বনে নিয়ে যায়। পরে বেলা ১২টায় অপহৃত দুই জেলের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করে দস্যুরা।
এ ব্যাপারে মনপুরা কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা কেএম শফিউল কিঞ্জল বলেন, জেলে অপহরণের ঘটনা আমাদের কেউ জানায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।