ইসমত তোহাঃ
১১ জুলাই,মঙ্গল বার
নতুন যুগে প্রবেশ করলো যুদ্ধ বিদ্ধস্ত আফগানিস্তান। প্রথমবারের মত জ্বালানি তেল উত্তোলন শুরু করেছে দেশটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সৈন্যরা চলে যাবার পর থেকে নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে আফগানিস্তান। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর সরকারকে কোনো রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু সরকারের সঙ্গে কাজ করছে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও পাকিস্তান। এসব দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার সমঝোতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এখন আর সেখানে প্রতিদিন বোমার কিংবা গোলার আঘাত মানুষ মারা যায় না। অনেকটাই শান্ত আফগানিস্তান। ক্রমেই অর্থনেতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তালেবান সরকার। তারই অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল উত্তোলন শুরু করেছে।
জানা যায়, আফগানিস্তানে জ্বালানি তেল উত্তোলন শুরু হয়েছে। তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটির উত্তরাঞ্চলের তেলকূপ থেকে এ জ্বালানি পণ্যের উৎপাদন শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে।
রোববার আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, ‘আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শেখ শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার বলেছেন যে এ জ্বালানি খাতে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। এছাড়া সাধারণ কর্মীদেরও নিয়োগ করা হবে।’
তিনি বলেন, সার-ই-পুলের এ জ্বালানি তেলের খনি থেকে পাওয়া রাজস্ব ব্যবহার করে বিভিন্ন খনিজ সম্পদের খাতগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে। এখন দেশটির সরকার এ খাতকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
আফগানিস্তানের এ খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। ওই সময় বেশ কয়েকজন শীর্ষ তালেবান কর্মকর্তা সর-ই-পুল প্রদেশের কাশকারি তেলক্ষেত্রের কূপগুলোর উদ্বোধন করেন।
কাশকারি তেলক্ষেত্রে ১০টি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি তেলকূপ থেকে ২০০ টন জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হচ্ছে। কাবুল টাইমস ও আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
আফগান কর্মকর্তারা আশা করছেন, কাশকারি তেলক্ষেত্র থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ক্ষমতা এক হাজার টনের বেশি।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে তারা চীনা কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তি অনুসারে তারা চীনের সহযোগিতায় সর-ই-পুল থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন করছে।