বিশেষ প্রতিনিধি
১১ জুলাই,মঙ্গলবার
ভোটাধিকার’ প্রতিষ্ঠায় এক দফা ঘোষণার মাধ্যমে সিরিজ কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপিসহ বিরোধীরা
বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এক দফার আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি নিয়ে নানা প্রস্তাব দিয়েছেন নেতারা। কর্মসূচির বিষয়ে গত রাতে স্থায়ী কমিটির সভায়ও আলোচনা হয়েছে। কর্মসূচি চূড়ান্ত না হলেও এক দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দলের নীতিনির্ধারকেরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েই গণ-অভ্যুত্থান পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান। তবে এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কঠোর কর্মসূচির দিকে নিয়ে গেলে সে ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার মতও রয়েছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে।
এই মুহূর্তে বিএনপির ঘোষিত কিছু কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জুলাই খুলনায় ও ২২ জুলাই ঢাকায় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ রয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশ করছে। এ ছাড়া ১৪ জুলাই নোয়াখালীতে পদযাত্রা করবে কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল। নোয়াখালীর পর ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম, ১৯ জুলাই দিনাজপুর, ২৮ জুলাই রাজশাহী, ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ ও ১৯ আগস্ট বরিশালে পদযাত্রা হবে। এসব কর্মসূচির সঙ্গে এক দফা আন্দোলনও চলবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে যে যুগপৎ আন্দোলন চলছে, সে আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল-জোটগুলো আগামী ১২ তারিখে নিজ নিজ জায়গা থেকে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের নতুন যাত্রা শুরু করবে।
সরকারের ওপর চাপ বাড়ানো এবং বিদেশিদের রাজনৈতিক শক্তি দেখানো—এই কৌশল নিয়ে বিএনপি বুধবারের সমাবেশে বড় জমায়েত করতে চাইছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন।