কেএফটি কলেজিয়েট স্কুলের আন্তঃ হাউজ ফুটবল লিগের সফল সমাপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২৯ জুলাই,শনিবার

চাঁদপুরের মতলবে কেএফটি কলেজিয়েট স্কুলের আন্তঃ হাউজ ফুটবল লিগের বয়েজ ও গার্লস্ উইংয়ের আলাদা ফাইনালের মধ্য দিয়ে সফল সমাপ্তি হল। গত ২৭ জুলাই স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও মতলবের পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন এর উপস্থিতিতে হাউজ ভিত্তিক ফুটবল লিগ সমাপ্ত হয়েছে।

সপ্তাহব্যপী চলা এ টুর্ণামেন্টটি তত্বাবধান করেন স্কুলের রেক্টর ও সাবেক উপ-সচিব জাকির হোসেন কামাল।


দিনের প্রথম ম্যাচে গার্লস উইং এর তিতাস ও গোমতি হাউজ মুখোমুখি হয়। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও নান্দনিক ম্যাচটি দু’দলের গোলকিপারের চোখ জুড়ানো পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে তিতাস হাউজ ৪-২ গোলের ব্যবধানে গোমতি হাউজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অন্য ম্যাচে বয়েজ উইং এর দু’টি শক্তিশালী দল ধনাগোদা এবং মেঘনা মুখোমুখি হয়। এ ম্যাচে ধনাগোদা হাউজ ২-০ তে মেঘনা হাউজকে পরাজিত করে। ম্যাচ দুটি থেকে ২০২৩ সালের বেস্ট গোলকিপার, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার ও স্ট্রাইকার নির্ধারণ করা হয়।
এরই সাথে পুরো টুর্নামেন্ট সুনিপুণ দক্ষতার সাথে ঢাকা থেকে আগত অভিজ্ঞ কোচ শাকিল আহম্মেদ পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই অপরাহ্নে চাঁদপুরের মতলবে কেএফটি কলেজিয়েট স্কুলের বালক ও বালিকা উইংয়ে হাউজ ভিত্তিক আলাদা ভাবে বার্ষিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। লিগ পদ্ধতিতে আটটি হাউজের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
প্রভাষকগণের উপস্হিতিতেপ্রতিষ্ঠানের রেক্টর ও সাবেক উপসচিব জাকির হোসেন কামাল এ টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

দুটো চ্যাম্পিয়ন টিম ও সেরা আটজন খেলোয়াড়কে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরস্কার দেয়া হবে। তাছাড়া সেরা ১৬ + ১৬ = ৩২ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বালক ও একটি বালিকা কেএফটি ফুটবল টিম গঠন করা হবে। ঢাকা থেকে আগত বিকেএসপির সাবেক কৃতি ছাত্র ও বিশিষ্ট ফুটবল প্রশিক্ষক শাহরিয়ার শাকিল এর তত্বাবধানে বাছাই করা ফুটবলারদের আগষ্ট মাসব্যাপী নিবিড় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
কেএফটি কলেজিয়েট স্কুলের রেক্টর জাকির হোসেন কামাল জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসব্যাপী চলবে ক্রিকেট ও হ্যান্ডবল লীগ ও প্রশিক্ষণ।


প্রাইম টিভিকে তিনি আরো বলেন, কেএফটি কলেজিয়েট স্কুল সম্পুর্ণ ক্যাডেট কলেজের আদলে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সাতটি একাডেমিক পিরিয়ডের মধ্যে সপ্তাহে তিনদিন সপ্তম পিরিয়ডটি গেমস বা খেলাধুলার জন্য এবং দুদিন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ কারণ ছাড়া প্রতিটি পিরিয়ডে সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ সবার জন্য বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীরাও বেশ আগ্রহ ও আনন্দের সাথেই প্রতিদিন ছয়টি নির্ধারিত শ্রেণি কার্যক্রমের পর সপ্তম পিরিয়ডে ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও নিবিড় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে থাকে।

Md Ismat Toha

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *