ভারত সহ পাঁচ দেশ প্রত্যাখ্যান করলো চীনের নতুন মানচিত্র

প্রাইম ডেস্ক:
০২ সেপ্টেম্বর,শনিবার

সম্প্রতি চীনের প্রকাশিত নতুন মানচিত্র প্রত্যাখান করেছে ভারত, মালয়েশিয়াসহ প্রতিবেশি কয়েকটি দেশ। বিরোধপূর্ণ কয়েকটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে মানচিত্রে দাবি করেছে বেইজিং। এরপর থেকে চীনের সাথে উত্তেজনা বাড়ছে। চীনের অযৌক্তিক এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে দ্রুত সংশোধনের দাবি জানিয়েছে দেশগুলো।

বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও প্রতিযোগীতাপূর্ণ বাণিজ্য জলপথ দক্ষিণ চীন সাগর। প্রতি বছর এই জলপথ দিয়ে ৩ লাখ কোটি টাকার বাণিজ্যপণ্য চলাচল করে। গত সোমবার এই অঞ্চলটির একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে বেইজিং। তবে, অনেক বিরোধপূর্ণ এলাকা স্থান পেয়েছে এই মানচিত্রে।

নতুন এ মানচিত্র প্রকাশের পর থেকেই একে প্রত্যাখান করছে ভারত। এরপরই একে একে মানচিত্রটি প্রত্যাখান করেছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়া। দেশগুলোর অভিযোগ, বেইজিং ২০০৯ সালে জাতিসংঘে দক্ষিণ চীন সাগরের যে মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে সেটির তুলনায় নতুনটিতে সাগরের আরও বেশি এলাকা নিজেদের দাবি করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিবেশি দেশগুলোর জলসীমাকে নিজেদের অধিকারে নেয়ার অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে।

ফিলিপিন্স নতুন মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করে চীনকে আরো দায়িত্বশীল আচরণ করার আহŸান জানিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের নতুন মানচিত্রের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই অভিমত ভিয়েতনাম প্রশাসনেরও।
বিতর্কিত এ মানচিত্র নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। চীনের এ ধরণের কৌশল তাইওয়ানের অস্তিত্বকে বদলাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র।

অন্যদিকে, ভিন্ন একটি মানচিত্রতে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীন নামের লাদাখ সংলগ্ন ভূখন্ডকে নিজেদের বলে দাবি করেছে বেইজিং। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একে আজগুবি দাবি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর।

তবে ভারতের প্রতিক্রিয়অর পর পালটা বিবৃতি দিয়েছে চীন। কূটনৈতিক ভাষায় ভারতকে ইস্যুটিকে ‘অতিমূল্যায়ন’ থেকে বিরত এবং ‘শান্ত থাকতে’ পরামর্শ দিয়েছে বেইজিং।

Md Ismat Toha

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *