জিহাদুল ইসলামঃ
০৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার
আষাঢ়ের বৃষ্টি কাঁচা রাস্তায় তৈরি করে কাঁদা। সর্বসাধারণের হাঁটার পথে ভোগান্তি পোহাতে হয় পুরো বর্ষা জুড়ে। পুকুর, খালবিলসহ চতুর্দিকে পানিতে থইথই থাকায় রাস্তার পানিও সরে না কোথাও। তাই হাঁটার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে এসব কাঁচা রাস্তাগুলো।
এমন-ই একটি কাঁচা গ্রামীণ রাস্তা হাইমচর উপজেলার ৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড ভোট কেন্দ্র থেকে হাইমচর ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন পাকা রাস্তা পর্যন্ত। বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় জমে থাকে পানি, ধীরে ধীরে পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। মাসের পর মাস এ রাস্তা অবহেলায় পড়ে থাকলেও সংস্কার করার কেউ থাকেনা। কর্তৃপক্ষও থাকে উদাসীন।
প্রতি বছরই এলাকার যুবকরা মিলে ইটা, বালু কিংবা রাবিশ ফেলে কোনোমতে হাঁটার উপযোগী করলেও টানা বারিবর্ষণে পুনরায় কাঁদা হয়ে যায় সম্পূর্ণ রাস্তায়। ইউপি মেম্বার বর্ষার আগে ও পরে রাস্তা মেরামত করলেও ভরা মৌসুমে খোঁজ রাখেন না এ রাস্তার। তাই এ গ্রামীণ রাস্তা নিদারুণ অবহেলায় পড়ে থাকে মাসের পর মাস।
৮নং ওয়ার্ডের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে কাঁচা রাস্তাগুলোতে নিজস্ব অর্থায়নে বালু ও রাবিশ মিক্স করে দিয়ে হাঁটার উপযোগী করে তোলেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ পাটওয়ারীর ছেলে বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মাজহারুল ইসলাম মেজর। তিনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লেবার নিয়ে রাবিশ ক্রয় বালুর সাথে মিক্স করে নিজে উপস্থিত থেকে গ্রামীণ রাস্তাগুলো খুজে খুঁজে সংস্কার করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৮নং ওয়ার্ডের যে সকল রাস্তায় কাঁদার কারণে হাঁটা অসম্ভব ছিল। সেগুলোতে বালু ফেলে হাঁটার উপযোগী করে তোলেন মাজহারুল ইসলাম মেজর।
তিনি বলেন, রাস্তায় কাঁদা হওয়ার কারণে মানুষের হাঁটাচলায় অসুবিধে হবে এটা হতে পারে না। সব ঠিক ইউপি মেম্বার বা চেয়ারম্যানদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হয় না। কিছু কিছু সময় স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে এসব গ্রামীণ জনপদের রাস্তা সংস্কার করতে হয়। সর্বসাধারণের যাতায়াতের পথ সহজ করতে নিজ উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে এ রাস্তা সংস্কার করছি। সকলের সহযোগিতা পেলে অন্যন্যা ওয়ার্ডে এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো- ইনশাআল্লাহ।