তাফসির হোসেনঃ
১৮সেপ্টেম্বর,সোমবার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রণোদনার আশ্বাসে ইউএনওর পি এ এর নাম ভাঙ্গিয়ে তিনজন গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে গেল ২৬ হাজার টাকা । বিকাশের মাধ্যমে এ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। তবে ইউএনওর কার্যালয়ের উপ-প্রসাশনিক কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, এই নাম্বারটি তার নয়। আর প্রণোদনার বিষয়ে কোন তথ্য তার জানা নেই।
রোববার হাজীগঞ্জ উপজেলা গ্রাম পুলিশ সমিতি সাধারণ সম্পাদক নিত্য সুত্র ধর জানান, যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা হলেন,
গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউপির মফিজ ইসলামের ৬ হাজার, জামাল হোসেন ৫ হাজার ৭শ টাকা, ৬ নং বড়কুল ইউনিয়ে নিত্ত সূত্র ধরের ১৫ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্য হারাধন জানান, তাকে একই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্য ফয়েজের নাম্বারে ০১৭৪৯৪৫৯৫৪১ নাম্বার থেকে ইউএনও অফিসে উপ প্রসাশনিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফোন দিয়ে উপজেলার সকল সদস্যদের প্রণোদনা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। এবং অফিসে দেখা করার কথাও বলে। পরে বিষয়টি উপজেলা গ্রাম পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নিত্ত সূত্রধরকরে অবহিত করা হয়।
তিনি এ নাম্বারে ফোন করলে তার কাছে ২ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়ার আশ্বাস দেয়। তবে আগে ১৫ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য জানালে তিনি টাকা পাঠিয়ে দেয়। এদিকে জামাল হোসেন ও মফিজকে ফোন এই নাম্বার থেকে ভালো কাজ করার স্বীকৃতি স্বরুপ পুরস্কার হিসাবে ১ লাখ টাকা দেয়া হবে। এমন আশ্বাসে ৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বললে তারা টাকা পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার গেলে তারা জানান, এমন কোন বিষয় তাদের জানা নেই। ওই নাম্বারটিও এ অফিসের নয়।
গ্রাম পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নিত্ত সূত্র ধর বলেন, আমরা নাম্বারটি হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। ঘটনাটিও জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালের কর্মকর্তা মো: রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এমন বিষয় নিয়ে গ্রাম পুলিশের কয়েজন অফিসে এসেছিল। তবে প্রণোদনার এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই। নাম্বারটিও আমাদের অফিসের করো না।
রোববার হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রাশেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষটি জেনেছি। নাম্বারটি তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে প্রতারক চক্রের হাত থেকে বাঁচতে সকলকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।