তাফসির হোসেনঃ
০৯ অক্টোবর,সোমবার

চাঁদপরের হাজীগঞ্জ বাজারে ট্রাক রোডে সার্কেল অফিস সংলগ্ন সিংগাপুর ভবনে সৌদি প্রবাসী ইমরান বাশার(৪০) কে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ইমরান বাশার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের দালাল বাড়ির আবুল বাসারের পুত্র। দুই মাস পূর্বে দেশে আসেন। ট্রাক রোড সংলগ্ন ভাড়া বাসায় তার পরিবারসহ বসবাস করতেন। ১৮ অক্টোবর সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার।

রবিবার রাত ৮ টায় নিজ বাসায় শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুকের আশেক এলাহি বাবু নামে এক যুবক এই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে জানান নিহতের স্ত্রী ফারজানা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফারজানার সাথে ইমরান বাশারের বিয়ে হয় দশ বছর পূর্বে। স্বামীর প্রবাসে থাকার সুযোগে আপন বড় বোনের দেবর আশেক এলাহীর সাথে দু’বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে স্ত্রী ফারজানার।
কয়েক মাস পূর্বে স্বামী স্বর্নালঙ্কার ও টাকা পয়সা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায় ফারজানা।
স্বামীর চাপে পড়ে ফারজানার বাবা জাকনীর জসিম উদ্দিন তার মেয়েকে পুলিশের সহযোগীতায় ঢাকা মিরপুর থেকে পরকীয়া প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেয়। স্বামী একমাত্র সন্তান আফনানের দিকে তাকিয়ে সব কিছু মানিয়ে নেন। স্ত্রীকে বিশ্বাস করে এই মানিয়ে নেয়াটাই যেন কাল হলো ইমরানের।
রোববার রাত ৮ টায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের হাতেই জীবন গেলো ইমরান বাশারের।

স্ত্রী ফারজানা দাবী করেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ বাবু তাকে উত্তপ্ত করে আসছে। ঘটনার সময় আশেক এলাহী বাবু ও তার স্বামী ইমরান নিজ বাসায় কথা বলছিলেন। তিনি নামাজের অযু করতে গেলে এই সুযোগে ইমরানকে বাবু জবাই করে। তিনি চিৎকার শুনে এসে দেখেন ইমরান রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছেন। সাথে সাথে ডাক চিৎকার করে স্বামীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় নিহতের ৬ বছরের পুত্র আফনান বাসায় ছিলেন।

হাজীগঞ্জ থানার সার্কেল জনাব পঙ্কজ কুমার দে ও অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ইমরানের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।