ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
১১ সেপ্টেম্বর, বুধবার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দীর্ঘ ১২ বছর পর নিজেদের বসতভিটায় ফিরে এসেছে দুই প্রবাসী পরিবার। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন এক যুবলীগ কর্মীর অত্যাচার ও নির্যাতনে বাধ্য হয়ে বাড়িছাড়া হয়েছিল পরিবারটি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের সানকিসাইর গ্রামের মিজি বাড়িতে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির সৌদিপ্রবাসী নুরুল আমিন ও গ্রিস প্রবাসী আব্বাস দুই ভাই দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। তাঁদের পরিবারে কোনো ছেলে সন্তান নেই। স্ত্রী ও মেয়ে সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই দিন কাটছিল তাদের। কিন্তু যুবলীগ কর্মী জহির হোসেন তাঁর সহযোগীদের নিয়ে এই পরিবারগুলোর ওপর বিভিন্ন অজুহাতে শুরু করে জমিদখল, চাঁদা দাবি, মারধর। এমনকি শিকার হতে হয় লুটপাটের।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ওই যুবলীগ কর্মী এখন এলাকায় নেই। সেজন্য নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে পরিবারটি।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের উসকানিতে সে এ ঘটনা ঘটায়। এসব ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের কার্যালয়, থানা-পুলিশ ও আদালতে অভিযোগ দিলেও তাঁরা কোনো সমাধান পাননি। পরে বাধ্য হয়ে বাড়িছাড়া হয় পরিবারটি।
প্রবাসীদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, শাহিনুর বেগম ও তাঁদের মেয়ে আয়শা আক্তার মিম বলেন, আমরা ১২টি বছর জহিরের অত্যাচারের শিকার হয়ে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বাড়িতে ফিরে আসতে পেরেছি। আমাদের মতো এমন অন্যায়ের শিকার যেন আর কোনো পরিবারকে না হতে হয় সেই চাওয়া বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের।
অভিযোগের বিষয়ে বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম হারুনুর রশিদ বলেন, ‘ওই জহির কর্তৃক ভুক্তভোগী প্রবাসীর এই পরিবারটিকে অনেক হয়রানি করেছে। আমি নিজেও জহিরের হয়রানির শিকার হয়েছি।’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
যুবলীগ কর্মী জহিরের কারণে প্রবাসী এই পরিবারগুলোর বাড়ি ছাড়া হওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাদেক।