বিশ্বকাপ এবং এশিয়ার আসরগুলোতে বরাবরই ভারতের সামনে অসহায় পাকিস্তান। এবারো তাই। তবে, চেষ্টাটা ভালোই করেছিলো বাবররা। কিন্তু শেষমেষ রোহিত, বিরাটদের জয় হলো ৫ উইকেটে।
দুবাইয়ে রোববার (২৯ আগস্ট) এশিয়া কাপের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে ভারত।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ভারতকে বিপদে ফেলে দেন অভিষিক্ত নাসিম শাহ। ইনিংস উদ্বোধনে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে নামা লোকেশ রাহুলকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন নাসিম।
রাহুলের বিদায়ের পর ভারতের ইনিংস এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক রোহিত ও বিরাট কোহলি। কোহলি কিছুটা ছন্দে ফেরার আভাস দিলেও ৩০ এর কোটা পেরিয়ে তিনি ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।
এর আগে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১৮ বলে ১২ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। কোহলির রান না পাওয়া নিয়ে কথা হলেও রানখরায় ভোগা রোহিত কিছুটা স্বস্তিতেই আছেন। তিনিও রান না করেও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না তাকে।
৫৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসা ভারতকে পথে ফেরানোর দায়িত্ব নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও সূর্যকুমার যাদব। তাদের ৩৬ রানের জুটি ভারতকে কিছুটা সামনে এগিয়ে নেয়।
সুর্যকুমার দলীয় ৮৯ রানে ফিরলে দলের হাল ধরেন জাদেজা ও হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের ২৯ বলে ৫২ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে একদম কাছে পৌঁছে যায় ভারত। দলকে জয় থেকে ৭ রান দূরে রাখে ২৯ বলে ৩৫ রানে করে ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা।
এই অলরাউন্ডার ফিরলেও ভারতের জয় অবশ্য কঠিন হয়নি। জাদেজার বিদায়ে উইকেটে আসা দীনেশ কার্তিক ও হার্দিক পান্ডিয়া দলকে ঠিকই পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে।
পাকিস্তানের হয়ে এদিন চমক দেখান নাসিম শাহ। ২৭ রানে দুই উইকেট শিকার করেন তিনি।
স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩৩ রানে শিকার করেন তিন উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে মাত্র পাঁচজন ব্যাটার এই ম্যাচে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। শেষদিকে শাহনেওয়াজ দাহানির ৬ বলে ১৬ রান না এলে হয়তো ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতাই গড়ে তুলতে পারতো না পাকিস্তান।
দলের সেরা ব্যাটার বাবর আজম এদিন মাত্র ১০ রানে ফেরেন। দলীয় ১৪৭ রানের মধ্যে ৪৩ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এটাই পাকিস্তানের পক্ষের সর্বোচ্চ স্কোর।
প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের সব উইকেট তুলে নেয়ার কৃতিত্ব দেখান ভারতীয় পেসাররা। ভারতের হয়ে চার উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও তিনটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।